আসসালামু আলাইকুম ।
বন্ধুরা সকলেই হয়তো ভালো আছো এবং আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি । আমি একজন শিক্ষাথী এবং আমি এবারের ১০ শ্রেণির শিক্ষাথী । আর যারা আমার আজকের লেখাটি পড়তেছেন, তারা হয়তো কেউ পড়ো ১০ শ্রেণির উপরে কিংবা নিচে আবার কেউ হয়তো ১০ শ্রেণিতেই, তো আমার এই আটিকেলটি লিখতে হয়তো অনেক অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে থাকতে পারে, আপনারা আমাকে এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ছোট ভাই মনে করে ক্ষমা করে দিবেন । Trickbd.Comসাইডে আমার এটা সবপ্রথম পোষ্ট । তো একটু একটু অনিচ্ছাকৃত ভুল হতেই পারে । মানুষ মাত্রই ভুল -আমি তো একজন মানুষ । তো আর বেশি বক বক করব না । আমি এবার সোজা মেইন টফিক চলে যাচ্ছি ।
আপনারা হয়তো পোষ্টের টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন, যে আমি আপনাদের সামনে কি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । তবুও আবারও বলচ্ছি - আমি আলোচনা করব; পদাথ বিজ্ঞান (Physics) এর গনিতিক অংক গুলো কিভাবে সহজ হবে ।
Math বিষয়টা অনেকের কাছেই একটা জঠিল সাবজেক্ট । আর সাথে যখন
পদার্থবিজ্ঞানের গানিতিক বিষয় যুক্ত হয়, তখন সেই ভীতি অনেক বেড়ে যায় ।
কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান
এবং গণিতের মধ্যে
খুব গভীর একটা
সম্পর্ক রয়েছে। কারণ
উভয় বিষয়ে
গাণিতিক যুক্তির
মাধ্যমে যেকোনো
সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর
কাজটি করে থাকে । তাই
গণিত বা পদার্থবিজ্ঞান (Physics) এর
সমন্বয় আরো বেশি
চমকপ্রদ।
গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান কী?
পদার্থবিজ্ঞানে আমরা অনেক
ধরণের সমস্যার সমাধান
আমরা করে থাকি। যেমনঃ
ভর, বেগ, গতি, শক্তি,
বল ইত্যাদি । এই সকল
সমস্যার সমাধানে আমরা
যখন পদার্থবিজ্ঞানের
বিভিন্ন সূত্রের পাশাপাশি গাণিতিক যুক্তি ব্যবহার করি তখন সমস্যাগুলো
গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের
অন্তর্গত হয়। আমরা যারা বিজ্ঞান (Scicnce) শাখায় পড়াশোনা করি, আমরা সকলই এই ধরণের সমস্যাগুলোর সাথে পরিচিত। তাই খুব সহজেই কিভাবে
গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানে ভালো করা যায় সেই
বিষয়গুলো নিয়েই এই
লিখাটি, তাহলে দেরি
না করে চলো শুরু করা
যাক…
=> পদার্থবিজ্ঞানের
মূল ভিত্তি হল সূত্র
আর গাণিতিক
পদার্থবিজ্ঞানে ভালো
করার জন্য সূত্রের
কোনো বিকল্প নেই।
তাই মূল সূত্রগুলো
সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা
থাকতে হবে। সূত্রগুলো
মনে রাখতে হবে কিন্ত
না বুঝে মুখস্ত করা
যাবে না ।
=> গাণিতিক
পদার্থবিজ্ঞানের
বিভিন্ন সমস্যা
সমাধানের ক্ষেত্রে
বিভিন্ন ধরণের
সমীকরণ এসে থাকে ।
কোন সমীকরণ খুবই
সরল আবার কোন
সমীকরণ জটিল। তবে
সকল সমীকরণের উৎস
একটি সাধারণ সমীকরণ। এই সাধারণ সমীকরণ সমাধানের কৌশলগুলো আয়ত্তে রাখতে হবে।
=> কোনো রাশির একক ও
মাত্রা কী এই ব্যাপারটা
জানতে হবে। অনেক সময়
দেখা যায় আমরা
গাণিতিক সমস্যাগুলো
সমাধান করে ফেলি
কিন্তু আসলে সেই
সমাধান করা রাশির
একক ভুল লিখার কারণে
পুরো নম্বর পেতে
ব্যর্থ হই তাই মনে করে
নির্ধারিত রাশির
জন্য নির্ধারিত একক
লিখতে হবে।
=> উচ্চতর
পদার্থবিজ্ঞানে
ডেরিভেশন একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বেসিক ডেরিভেটিভ গুলো
সম্পর্কে যদি পরিষ্কার ধারণা না থাকে তাহলে এই ধরণের সমস্যা সমাধানে কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই চেষ্টা এই
বিষয়ে বেসিক ভালো
করার দিকে মনোযোগ
দিতে হবে।
=> নতুন অধ্যায় শুরু
করার পরে ভালো করে
সেই অধ্যায়ের
বর্ণনামূলক অংশ বা
থিওরী অংশটুকু পড়তে
হবে। এতে মূল
বিষয়গুলো আরো বেশি
পরিষ্কার হবে এবং
গাণিতিক সমস্যা কী
ধরণের হতে পারে সেই
সম্পর্কে একটা ধারণা
পাওয়া যাবে।
=> যে সকল সমস্যা
সমাধানের জন্য চিত্র
আঁকা প্রয়োজন সেই
সকল সমস্যার ক্ষেত্রে
চিত্র আঁকতে হবে।
যেমন ভেক্টর। চিত্র
আঁকলে চিত্র থেকে
অনেক তথ্য সহজেই
নির্ণয় করা যায়। যা
চিত্র না এঁকে বের করা
সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
=> মূল বইয়ের পাশাপাশি
পদার্থবিজ্ঞানের
বিভিন্ন মজার মজার
সমস্যা আছে এমন
বইয়ের সমস্যা সমাধান
করতে হবে। যেমনঃ
পদার্থবিজ্ঞানের
মজার কথা প্রথম ও
দ্বিতীয় খন্ড। এই
বইগুলো বেসিক ভালো
করার পাশাপাশি
পদার্থবিজ্ঞানের
বিস্তর জগৎ সম্পর্কে
ধারণা দিয়ে থাকে।
=> প্রচুর চেষ্টা করতে
থাকতে হবে। কোন
সমস্যা সমাধান করতে
না পারলে পরেরটা
সমাধানের চেষ্টা করতে
হবে এবং হাল ছাড়া যাবে না।
প্রয়োজনে শিক্ষক বা
বন্ধুদের সাহায্য নিতে
হবে। সবচেয়ে ভালো
একসাথে বসে Group Study
করা যেতে পারে ।
পদার্থবিজ্ঞান
বিজ্ঞানের সবচেয়ে
সুন্দর শাখাগুলোর মধ্যে
একটা। পদার্থবিজ্ঞানে
ভালো জ্ঞান থাকলে এবং
ভালো করলে নামকরা
বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ।
যেমনঃ (BUET, DU, RUET,
KUET) প্রথম সারির
বিষয়গুলোতে চান্স
পাওয়া অনেক সহজ হয়ে
যায়। তাই
পদার্থবিজ্ঞানের
মৌলিক বিষয়গুলো
সম্পর্কে ধারণা থাকাটা
জরুরি।
লিখাটি পড়ার জন্য
ধন্যবাদ।